জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

করোনায়; দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে করণীয় কী!

 মুতাসিম বিল্লাহ 

‘মরমু বইলা করমু না কাম, বাঁচলে খামু কী’ বরিশালের মানুষের এই প্রবাদের মতো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবন করোনায় বেঁচে গেলেও জীবনকে যাপন করার কামড় থেকে তারা কিভাবে বাঁচবে! এমন ভাবনায় অনেকেই দিশেহারা। এখন বাংলাদেশের মানুষের সংকট ৩টি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ভয়, করোনায় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে হতাশার সাগরে হাবুডুবি তথা ক্ষুধায় কোনো কিছু না পাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষের যবনিকাপাতের আশঙ্কা ও করণার কারণে গৃহবন্দী অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর শঙ্কা।



সাম্প্রতিক নিম্নআয়ের মানুষের উপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব কতটা পড়েছে তা জানতে দুই হাজার ৬৭৫ জনের উপর একটি জরিপ চালিয়েছে ব্র্যাক। করোনার প্রকোপ শুরুর আগে জরিপে অংশ নেয়াদের গড় পারিবারিক আয় ছিল ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা। মার্চে তা নেমে এসেছে তিন হাজার ৭৪২ টাকায়। অর্থাৎ, তাদের গড় আয় ৭৫ ভাগ কমে গেছে। আয়ের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ ভাগই চরম বা হতদরিদ্র্যের স্তরে নেমে গেছেন। এ কারণে আগের তুলনায় চরম দারিদ্র্যের সংখ্যা ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষনা দলটি। এই প্রাপ্ত তথ্য বলছে আগামী দিনে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ কতটা সংকটে পড়তে পারে!

 

সুতরাং সরকারকে শুধু করোনা মোকাবেলা করাই একমাত্র সমাধান না ভেবে এর পাশাপাশি মানুষের খাদ্য সংকট নিয়ে ভাবতে হবে। এই জরিপে দেখা যায় ৯৬ শতাংশ মানুষ মনে করে করোনাভাইরাস মোকাবেলা এবং এর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার পর্যাপ্ত সহায়তা দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। যে বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। ব্র্যাকের জরিপ চলাকালীন ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনো খাবার ছিল না। ২৯ ভাগের ঘরে ছিল এক থেকে তিন দিনের খাবার। সরকারের জরুরি ত্রান পৌঁছেছে মাত্র চার শতাংশ মানুষের কাছে।

আমরা যদি ইতিহাসে ফিরে দেখি তাহলে আমরা দেখব ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হিসেবে পরিচিত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। ১১৭৬ বঙ্গাব্দে (ইংরেজি ১৭৭০) দুর্ভিক্ষটি হয়েছিল বলে একে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরবলা হয়। ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন। তখন থেকেই এ দেশে ব্যাপক সম্পদ লুণ্ঠন করতে থাকে ইংরেজরা। ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। বাংলার নবাবের হাতে থাকে নামে মাত্র প্রশাসনিক ক্ষমতা। রাজস্ব আদায় এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব থাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির কাছে। ফলে যে শাসনব্যবস্থার সৃষ্টি হয় ইতিহাসে তা দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। ক্ষমতাহীন নবাবের প্রশাসনিক শাসনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি খাজনা আদায়ের নামে সীমাহীন শোষণ আর লুণ্ঠন শুরু করে। এর ওপর দেখা দেয় অনাবৃষ্টি। এতে ফসলের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। ফলে ১৭৭০ সালে বাংলায় দেখা দেয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। এই দুর্ভিক্ষে প্রায় এক কোটি মানুষ খাবারের অভাবে মারা যায়, যা সমগ্র বাংলার জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় এবং খাদ্যশস্যের বাজারে বেশি মুনাফা অর্জন এই দুর্ভিক্ষের একটি বড় কারণ হলেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এটিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করে।

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণায় বিভিন্ন পণ্ডিতরা দেখতে পেয়েছেন যে ১৯৭৪ সালে গড় খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল 'স্থানীয়ভাবে সর্বোচ্চ'। এ কারণে পন্ডিতদের যুক্তি, “১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে, খাদ্যের প্রাপ্যতার উপলব্ধতা দুর্ভিক্ষ নিয়ে যথেষ্ট ব্যাখ্যা দেয় নাতারা যুক্তি দিয়েছেন যে, খাদ্যের প্রাপ্যতার ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি বরং বিতরণ ব্যর্থতার কারণে হয়েছে, তখন একদল বাজারে খাবারের উপরে আধিপত্য স্থাপনকরেছিল। খাদ্যশস্য মজুতের সরকারী অব্যবস্থাপনা, জেলাগুলির মধ্যে খাদ্যশস্য আনা- নেয়ার সীমাবদ্ধ আইন, প্রতিবেশী দেশগুলিতে খাদ্যশস্য চোরাচালান এবং তথাকথিত বিতরণ ব্যর্থতার কারণে এ দুর্ভিক্ষ বলে মনে করেন গবেষকরা।

সুতরাং করোনা পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও সমাধান বের করতে হবে। আমরা ইতিহাস থেকে দেখি, ছিয়াত্তরের মন্বন্তেরের সময়ে যে দুয়েকজন মহাপ্রাণ ব্যক্তি দুর্ভিক্ষপীরিত মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন তাঁদের একজন হাজী মুহসীন। এ প্রসঙ্গে রজতকান্ত রায়ের মন্তব্য আর্তের পরিত্রাতা রূপে বাঙালি জাতি যে দুজনকে মনে রেখেছে, তাঁদের নাম সরকারি নথিপত্রে নেই এবং তাঁরা কেউ রাজপুরুষ নন। একজন দানবী তীর্থ পর্যটক পরদুঃখকাতর আজীবন ব্রহ্মচারী হাজী মুহম্মদ মুহসীন ও অন্যজন সাক্ষাৎ অন্নদারূপিণী পুণ্যশ্লোকা বিধবা রানী ভবানী। হাজী মুহাম্মদ মহসিন এ সময় কতগুলো লঙ্গরখানা খুলে অনাহারী মানুষকে অন্নদান করেছিলেন। কোটি মানুষের মৃত্যুর দ্বীপে দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের পাশে মাত্র গুটিকয়েক মানুষ পাশে ছিলো, এমনটিই ইতিহাস বলে।

 

ইতিহাসে প্রাচীন বাংলায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লিখিত প্রথম প্রমাণ মেলে মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে, বাংলাদেশের বগুড়া জেলার মহাস্থানে পাওয়া এই প্রাচীনতম শিলালিপিতে কর্তব্যরত মহামাত্রের নিকট জারিকৃত জনৈক শাসকের একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে সংবঙ্গীয় নামে পরিচিত শহর ও শহরতলীর অধিবাসীদের দুর্দশা দূর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মধ্যযুগে দেখি, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত সুফিদের খানকাহগুলো ছিলো আধ্যাত্নিক, মানবকল্যাণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যাবলির একেকটি কেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠান নানাভাবে মুসলমানদের অগ্রগতি ও বাঙালি সমাজের উন্নয়নে যথেষ্ট পরিমাণে সহায়তা করে। আমরা দেখি সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের সময় তুরস্কের কোনিয়া থেকে বাংলাদেশে আসা হযরত শাহজালাল দারুল ইহসাননামক একটি পবিত্র ইমারত নির্মান করেন যেখানে এই জনকল্যানমূখী কার্যক্রমই পরিচালিত হতো। এমনি করে সুলতানি আমলে নির্মিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাহ নির্মাণে সূফিরা সম্পৃক্ত থাকতেন। তাদের এই খানকাহগুলো ছিল দরিদ্র, নিঃস্ব, সন্ন্যাসী ও ভবঘুরে সব মানুষের জন্যই উন্মুক্ত। সুফিদের দরগাহগুলোকে দুনিয়ায় বিশ্রামদানকারী অট্টালিকারূপে বিবেচনা করা হতো যেখানে জনসাধারণের আশা পূর্ণ হতো।

আমরা যদি এ কাজের প্রেরণার উৎস খুঁজি তাহলে দেখতে পাই, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইতিহ ওয়াসাল্লাম এর সময়কালে মদিনাতে মসজিদে নববীতে থাকত আসহাবে সুফফারসদস্যরা। যাদের গায়ে বড় কোনো চাদরও ছিলো না, অভাব ছিলো যাদের নিত্য সঙ্গী, (এমন অভাবী সাহাবীদের বলা হয় আসহাবে সুফফা এর সদস্য)। তাদের সংখ্যা ছিলো প্রায় ৭০জনের মতো। তারা ছিলো ইসলামের মেহমান, তাদের ছিল না কোনো পরিবার, কোনো সম্পদ, এবং কারো উপর ভরসা করার মতো কেউ। তাদেরকে যারা যা দিত তাই দিয়েই তারা দিনাতিপাত করত। এসময়ের মসজিদ শুধু মাত্র সালাত আদায়ের স্থানই ছিলো না বরং তাদের জীবনমুখী সব সমস্যার সমাধান হতো মসজিদকে ঘিরে। রাসূল সাঃ এর সামনে হাবশার লোকেরা মসজিদে বর্শা নিয়ে খেলা করত, ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করত, ঋণ পরিশোধ করত, মসজিদে রোগীদের জন্য তাবু স্থাপন করত (বুখারী-৪৫৪, ৪৫৫, ৯৮৮, ২৯০৬, ৩৫২৯, ৩৯৩১, ৫১৯০, ৫২৩৬; আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪১)।

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি সামনে যেন কোনো দুর্ভিক্ষ কবলে না পড়তে হয় কিংবা যেন মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে বেশ কিছু আশু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান তাদের সমস্যা সমাধানে যদি ধর্ম থেকে করা যায় তাহলে সরকারের উচিত হবে সে আলোকেই সহজ সমাধান দেওয়া। সামনে রমযান এ মাসে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বেশি দান করতেন। তাই মানুষকে এ মাসে বেশি বেশি দান, সদকাহ করতে উৎসাহ প্রদান, পাশাপাশি যাকাত দেওয়ার বিষয়েও উৎসাহিত করা দরকার।

আমরা দেখি সিরিয়ায় মহামারী দেখা দিলে ওমর (রা.) জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে, অনেকদূর যাওয়ার পরেও তিনি সাহাবীদের নিয়ে সফর স্থগিত করে ফিরে আসেন (বোখারি, হাদিস : ৫৭২৯)। মহামারীর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণেই হয়ত মহানবী (সা.) মহামারীতে মারা যাওয়া ব্যক্তিকেও শহীদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘পাঁচ প্রকার মৃত ব্যক্তি শহীদ। মহামারীতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করেছে।’ (বোখারি, হাদিস : ২৮২৯) আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহামারীর কারণে মারা যাওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত।’ (বোখারি, হাদিস : ২৮৩০), বেশির ভাগ মহামারীই সংক্রামক, তাই রাসুল (সা.) মহামারীর সংক্রমণ রোধে আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছেন। মুমিন ইমান ও ইখলাসের সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোথাও মহামারী দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা ছেড়ে চলে এসো না। আবার কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করে থাকলে, সে জায়গায় গমন করো না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১০৬৫)

আমরা দেখি মহাগ্রস্থ আল কুরআনের, সূরা ইউসুফে দুর্ভিক্ষ বিষয়ে করণীয় কিছু আয়াত। ইউসুফ বললো, “তোমরা সাত বছর পর্যন্ত লাগাতার চাষাবাদ করতে থাকবে, এ সময় তোমরা যে ফসল কাটবে তা থেকে সামান্য পরিমান তোমাদের আহারের প্রয়োজনে বের করে নেবে এবং বাদবাকি সব শীষ সমেত রেখে দেবে। তারপর সাতটি বছর আসছে বড়ই কঠিন সময়। এ সময়ের জন্য তোমরা যে শস্য জমা করবে তা সমস্ত সময়ে খেয়ে ফেলা হবে। যদি কিছু বেঁচে যায় তাহলে তা হবে কেবলমাত্র সেটুকুই যা তোমরা সংরক্ষণ করবে। এরপর আবার এক বছর এমন আসবে যখন রহমতের বৃষ্টি ধারার মাধ্যমে মানুষের আবেদন পূর্ণ করা হবে এবং তারা রস নিংড়াবে” (সূরা ইউসূফ-৪৭-৪৯) এর আয়াতগুলো খেয়াল করলে দেখা যায়, ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জাতিকে মহামারী মোকাবেলা যে পথনির্দেশ দিয়েছেন তাতে তিনি ৩টি বিষয় বলেছেন প্রথমত, এ সময়ে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে, দ্বিতীয়ত, খাদ্য সংরক্ষণ ও মহামারী সময়ে সংরক্ষিত খাবার থেকে খেয়ে (অল্প খেয়ে) ধৈর্য্য ধারণ আর শেষে হলো এই মহামারী একসময় কেটে যাবে তখন আবার সুজলা-সুফলা শস্য তৈরি হবে। আমাদের ইতিহাস, ধর্ম থেকে মহামারী ও তার পরবর্তী দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় যে পরামর্শগুলো পেয়ে থাকি তাহলো-

# এ বছর কৃষি বিপ্লব ঘটাতে হবে, বাসার বারান্দা, ছাদ থেকে শুরু করে যত জায়গা আছে যেখানে সুযোগ থাকবে সেখানেই কোন না কোন শাক, সব্জি, ফসলের বাম্পার ফলনে চেষ্টা ও তাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

# মাছ চাষ, গবাদি পশু পালনে মডেল স্থাপন করতে হবে, এসব কাজে শিক্ষিত তরুণ ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

# কৃষির উন্নয়নে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিষয়ে নজর দিতে হবে।

# মসজিদগুলো বন্ধ না রেখে, বরং যে মানুষগুলোর আশ্রয়ের কোনো জায়গা নেই, মাথা গোঁজার ঠাই নেই তাদেরকে মসজিদে হোম করেন্টাইনে রেখে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরি তদারকিতে খাওয়া, থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। যেন কোনো দুঃস্থ, অসহায় মানুষ না খেয়ে মারা যায়। 

# প্রতিটি ইউনিয়নে যুব উন্নয়নের আদলে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্ববধায়নে কৃষি উন্নয়ন বা এমন সমবায় সমিতি গড়ে তোলা, যাদেরকে সরকার সেই এলাকা উপযোগী শস্য তৈরির নির্দেশনা দিবে, এর দাম ঠিক করে দেবে এবং সময় মতো উৎপাদিত পন্য সেখান থেকে সরকার কিনে আনবে।

# গার্মেন্টসসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি হারানো মানুষ এই কৃষিকাজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবে।

# সেনাবাহীনিকে এই কর্মকান্ডে; খাদ্য সংগ্রহ ও খাদ্য বিতরণে সম্পৃক্ত করতে হবে। খাদ্যের সুষম বন্টনে যেন কোনো অশুভ শক্তি কিংবা কোনো অব্যবস্থাপনা না হয় তা নিশ্চিত করতে।

# কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষকে ঘরে না বসিয়ে রেখে মানুষ যেন সামাজিক দূরত্ব মেইনটেইন করে তারা কাজ করে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য যেন ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হয় সে জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে পণ্যে সংরক্ষণাগার ও গুদামজাতকরণ করতে হবে।

# যারা ঘরে থাকেন তারাও যেন কোনো না কোনো প্রশিক্ষণ, শরীরচর্চা, বইপাঠে থাকেন সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

# ছিয়াত্বরের মন্বত্ত্বর ও চুয়াত্ত্বরের দুর্ভিক্ষ থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে যেন, খাদ্যশস্য মজুতের সরকারী অব্যবস্থাপনা না হয়, জেলাগুলির মধ্যে খাদ্যশস্য আনা-নেয়ায় যেন কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে, মুনাফাখোর, অতিলোভী কেউ যেন বেশি দামের আশায় পণ্য লুকিয়ে না রাখে। 

# ভেষজ চিকিৎসা, ইউনানী ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে সরকারের আমলে নিয়ে তারা যেন এ সংকটকালে স্থানীয় জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারে সে বিষয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।

# ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগোল এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাবান দিয়ে হাত ও  ব্লিচিং দিয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার রাখার বিষয়ে প্রচারণা অব্যহত রাখতে হবে।

কৃষি প্রধান এ দেশে শুধু ত্রাণ দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো বসিয়ে রেখে বিপদ কাটিয়ে উঠা যাবে না, দূরত্ব বজায় রেখে, করোনায় কর্মশক্তি ও চিন্তা শক্তি না হারিয়ে ফেলে, শুধু বাসায় থেকে না ঝিমিয়ে শরীর ও মনটাকে কাজ দিতে হবে। প্রকৃতির সাথে শরীরের অভিযোজন না ঘটাতে পারলে শুধু ঘরে বসে থেকে লাভ হবে না, আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া কে টিকিয়ে রাখার জন্য যুব সমাজের অনেক বেশি ভূমিকা আছে, তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে। এখন থেকে মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে এ অঞ্চলের মানুষের করোনা সমস্যার সমাধান আমাদের দেশের অতীতে মহামারী ও দুর্ভিক্ষ থেকে উত্তরণের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজস্ব  পদ্ধতিতেই এগিয়ে যেতে হবে, ইউরোপীয় পদ্ধতিতে সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে না।

লেখক পরিচিতিঃ শিক্ষক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

Ananda Rajar Bari


A large number of Buddhist monasteries, temples, stupas and most probably other establishments too were erected on the crests, slopes and foots of the hills between 6th and 13th century of the Christian era. Some of these, for instance, are Salban Vihara, Kutila Mura, Charpatra Mura, Mainamati’s Palace mound (Khan 1963, Rashid 1968), Rupban Mura (Alam M.S1992), Itakhola Mura (Rahman1997), Bhoj Vihara (Musa n.d) and Ananda Rajar Bari (Ahmed 1979) mounds have been excavated in the fast five decades.

The Site

The site of Ananda Vihara, locally known as Ananda Rajar Bari, is the largest monastery in Lalmia-Mainamati hill range. Situated at the foot of Mainamati hills along its eastern edge within the cantonment area the site is more than 2 km north of Salban Vihara and 1 km south of Kutila Mura. A large water tank, locally known as Ananda Rajar Dighi, lies by the east-north-east of the vihara. This gigantic monument is probably named after the name of Sree Ananda Deva, the third and the greatest ruler of the early Deva dynasty as revealed by the Salban Vihara copper-plates (Dani 1966) hithero unknown from any other source.

Excavation: 1975-1978

The excavation carried out between 1975 and 1978 unfolded partial remains of a large Buddhist monastery (the large in Mainamati and second largest in Bangladesh). Besides these structural remains, fairly large number of antiquities of various types had been recovered from the site. Of these a few Neolithic axes, one post Gupta imitation gold coin, one small gold ear ring, one inscribed silver coin of the Pattikera type, one terracotta tablet, a number of treeacotta plaques, a few bronze images of Buddhist gods and goddesses, about two dozen of terracotta sealings, a few clay and baked clay votive stupas , a beautiful bronze saucer, a few semi-precious stone beads, some ornamental bricks and earthen objects were also salvaged during the operation. Built of burnt bricks on a square plan the monastery measured 190.5. m long each side. The monastic cells along with the verandah were arranged in rows in its four wings around an open courtyard. The projected massive gateway of the monastery was accommodated in the middle of the northern wing.it was 30.48m E-W by 13.72 m N-S and the entrance passage in the middle of the gateway was 2.29 m K-W by 8.38 m N-S. on either side of the entrance passage layout of six cells had been partially cleared. Excavation in these cells revealed cultural accumulation of two phases of building activities.

Excavation:1979-1982

During this period excavation at Ananda Vihara had been conducted along the exterior wall of the southern and eastern wings, verandah wall of southern and western wings, in the middle of the monastic cells of the southern wing, in the south-east corner of the , monastery, in the southern half of central shrine and in a portion of the courtyard (between the central shrine and the middle of the southern wing).

Summary Of The Result

As a result of excavation the entire exterior wall of the southern wing, certain portions of the exterior wall of the northern wing , small part of the exterior wall of the eastern wing at its southern and northern corners, large part of the verandah and its retaining wall of the southern and western wing, layout of a cell in the southern corner of the eastern wing, five monastic cells in the middle of the southern sing, one cell in its eastern corner, a projection along the middle of the verandah of this wing, a portion of the cruciform central shrine and a part of the courtyard (between the central shrine and the middle of the southern wing) had been exposed. All the monastic cells showed the evidence of two phases of building activities. One cell exposed in the middle of the southern wing was found to be larger than the other adjacent cells. Besides these structural remains, more than five hundred antiquities had been registered. Among them a large but broken image of Bodhisattva Avalokitesvara fabricated from Dupi Tila Formation, locally known as soft stone; two small bronze images, two bronze saucers, fragments of a bronze vessel, forty terracotta plaques and plaque fragments, some terracotta sealings, a few semiprecious stone beads, a fairly large number of ornamental bricks and some earthen objects are notewothy.

Monastery Of The First Phase

The internal dimension of the cells of the monastery’s first phase was 3.28 m × 2.74 m. The back wall of the cells was 4.88 m wide but the width of the front wall could not be ascertained as the second phase verandah and it’s retaining wall were built over this wall. But the foundation was traced in the south-east corner of the monastery at a depth of 5.70 m from the surviving top. Cells were divided by 1.85 m wide partition walls. Facing the front walls there was a verandah, a small portion of which along with its retaining wall was exposed in the south-east corner of the monastery. As many as five brick-dust floors were exposed in this verandah. There was related to layers (1), (2), (4), (5), and (10), respectively. A portion of the verandah and the retaining wall measuring 1.5 m wide was exposed in the middle of the southern wing also. Hear digging was restricted in the upper level. No floor could be traced in the cell area as the second phase front wall was built over the major portion of the heavily distributed first phase cell. In front of the larger hall (exposed in the middle of the southern wing) the verandah and the retaining wall could not be traced as there is a projection of the second phase. It is yet to be ascertained whether this projection existed in the first phase too.

Monastery Of The Second Phase

During the second phase of the building activity the builders did not change the external alignment of the original monastery but internally change the layout of the monastic cells and verandah. In the later phase of width of the original (first phase) exterior wall to 2.88 m. from 4.88 m .According all other related structures viz. front wall, verandah and its retaining wall were also shifted backward. It is evident that the builders removed the bricks from the exterior wall (2 m backward from the inner face) at places up to its foundation. A deep cavity was thus created ) and was filled in by sandy soil carried from outside. This infilling was about 2.5 m thick. The second phase builders built 1.89 m wide front wall over the middle of the first phase cells. Thus a portion of the first phase cell was left in its (second phase front wall) either side. Over the major portion of front wall and a small portion of the cell of the first phase, verandah of the second phase monastery was built.
The builders kept the length of second phase cell as it was in the first phase .i.e.,3.28 m, but slightly changed the breadth from 2.74 to 2.59 m. Here it is noticeable that the breadth of this phase cell could be determined in very small portions of the northern wing and south-east corner of the monastery where the regular face of back wall of this phase was evident. Regular inner face of the major portion of the back wall could not be traced due to damage caused by the brick-hunters. Thickness of the partition wall of the cell of this phase remained unchanged i.e.,1.85 m. In the second phase cells we observed four brick paved floors succeeding layers (1),(2),(3) and (4), respectively. But at the levels of these floors, the walls of the cells were found entirely missing. Since the walls had been removed and the cell areas had been lift as isolated heaps of earth looking like stupas no doorway of the cell could be found. Each of the floors was about 40 cm thick. The brick paved floor exposed below layer (4) was well preserved. This was the first floor of the second phase building and was built over the deep filling of carried earth. The verandah measuring 1.9 m wide with its 1.5 m thick retaining wall had been exposed in the middle of southern wing and in the south-east corner of the monastery. It is already mentioned that only four brick paved floors associated with layers (1),(2),(3) and (4) were encountered in the middle of the southern wing but seven floors (related to layers 1 to 7) were found in the south-east corner. In the former case the earliest floor was built over the deep filling of sandy soil as noticed in the cell areas. The floors in the latter area were made of brick-bust. But two brick-dust floors associated with layers (3) and (6) were supported by brick soling also. In front of the middle of the southern wing a projection was accommodated. It consisted of two small room and a staircase. The staircase was 1.93 wide. The arms were 1.37 m side. Each of the two small rooms internally 1.8m E-W and 2.5 m N-S. Function of these two rooms is still uncertain. It is yet to be examined whether this projected staircase along with these rooms were also used in the first phase of the monastery.

Central

The excavation in the middle of the courtyard revealed the layout of a cruciforn shrine similar to the central shrine of the first period of Salban Vihara (Khan 1963, Alam A.K.M.S.1982:38) but larger in size. The outer face of the entire southern arm of the temple, a certain portion of its eastern arm and considerable portion of the western arm were unearthed. The southern arm was 56.00 m long and perhaps each arm of this temple was of the some length. Two projections, one in the middle of the southern arm and the other in the middle of the western arm. Were uncovered. Five terracotta plaques were found in situ on the outer face of the basement wall of the western projection The plaques depict a maned lion face, two warriors and two horse-riders2.Three courses of ornamental bricks survived. The exposed projected part of the western arm externally measured 7.92 x 3.35 m. A large broken image of Bohdisattva Avlokitesvara made of Dupitila Formation (Bakr:1976), locally known as soft stone, was recovered from the area of the western projection. The upper part of the wall had been removed by the brick-hunters and its foundation was traced at the depth of 1.22 m from its surviving top. As many as five brick-dust floors were encountered in the southern area of the temple. The floors were associated with layers (1), (2),(3),(4) and (5) respectively. The lowest floor (related to layer 5) was traced 30 cm below the foundation of the temple wall. It indicated that this floor was not associated with the exposed remains of the temple, rather it was associated with the earlier structure. Further investigation needs to ascertain it. It is most likely that like the monastery area this temple too might have two phase of building activity. If so, it can be inferred that the exposed portion of the temple belongs to the second phase and the lowest floor was associated with the first phases of the temple whose structural remains yet to be exposed. A 2.74 m wide brick paved floor had been unearthed around the temple to its southern, eastern and western sides about 3 m below the frieze of terracotta plaques mentioned above. The floor probably formed part of the circumambulatory passage of the temple. Since the excavation was restricted to a limited area the entire layout of the temple and its other feature could not be exposed.

Courtyard

Few trenches were sunk in the courtyard area between the southern wing and the central shrine on order to trace the probable existence of ant pathway in this area. Since the excavation was restricted to upper level it did not reveal any positive result. Except a few irregular fallen brick debrise no regular structural remains could be found

Stratigraphy

Stratigraphic record in extensive site like Ananda Vihara was not uniform throughout the area. The monastic cells and the central shrine showed some differences in the formation of cultural debrise particularly in the upper level. Since the site had been disturbed several times its stratigraphic sequence at the upper level has also been disturbed badly. Apart from these, unless the natural soil of the site is traced at several points it is difficult to establish the stratigraphic sequence of all the exposed part of the site satisfactorily and make a correlation amongst them. However, deep digging in a restricted area at the central shrine revealed six strata and five occupation levels. Of these the lowest level (5th level) seemed to be related to the first phase of building activity while the upper four levels to the second phase. Digging in the monastic arms had revealed clearly the strata of two building Phase. In the first phase. Occupation levels (floors) had been unveiled in the verandah only. No floor was found in the cell due to very restricted area of excavation as already stated. In the second phase, occupation level had been cleared in the verandah as well as in the cell. The antiquities recovered were mostly from the upper layers particularly from the shrine area. Description of the strata exposed in the deep trench of the shrine area is given below.
    Layer (1) was characterized by 30 cm thick loose grey soil associated with brick-bats. A 5 cm thick brick-dust floor was unearthed below this layer. Layer (2) was represented by 20 cm thick loose grey soil mixed with large quantities of fallen bricks. It was succeeded by a 5 cm thick brick-dust floor. Most of the antiquities including terracotta plaques and ornamental bricks were recovered from this layer. Layer (3) consisted of 45 cm thick brown soil mixed with a large number of fallen bricks. A well preserved brick-dust floor ( 15 cm thick) was exposed below this layer. This layer yielded a number of objects like stone image, terracotta plaques and ornamental bricks. Layer (4) consisted of 40 cm thick sandy soil with rare brick-bats. A thin (3 cm thick) floor built with brick-dust was unveiled below this layer. Layer (5) also was characterized by sandy soil and measured 64 cm thick. Below this layer a thin (3 cm thick) brick-dust floor was noticed. Layer (6) consisted of sandy soil. It was exposed down to 45 cm from its top. At this level digging was suspended.
It was observed that layers (4), (5) and (6) were composed of sandy soil, carried from outside each time to raise the floor levels.

Antiquities

More than five hundred antiquities of various types were salvaged in the operation including one large stone ( local soft stone) image of Bodhisattva Avalokitesvara, one inscribed ornamental brick, two bronze image, about two dozen of terracotta sealings, about half a dozen of clay and baked clay votive stupas, forty terracotta plaques, a fairly large number of ornamental bricks, fragments of bronze images, pedestals and bronze vessels, a beautiful bronze saucer, a few semi-precious stone beads, a number of terracotta beads, balls, disca and toys, a large number of iron nails, some complete and semi-complete earthen pots, oil lamps, stands, sprinkler’s tops and numerous potsherds.

Stone Image

A large stone image of Bodhisattva Avalokitesvara was recovered from the western projection of the temple ( Square C-IV/25, layer 3 ). It was broken into few pieces. This was made of local soft laminated black stone geologically known as Dupitila Formation ( Badr, 1976: 12). Similar sculptures of Bodhisattva Avalokitesvara were recovered from inside the deep shaft of the central stupa of Kutia Mura and had been dated to 7th century A.D. ( Khan, 1963:23). The present image may also be assigned to the same period.

Bronze Images

Two bronze images and the head of a small bronze image were discoverd in excavation . One of these measuring 5.8 cm × 6.4 cm probably represented Dhyani Buddha, while the other one 3.2 cm high could not identified as it was heavily encrusted.

Miscellaneous Bronze Objects

Among the various bronze objects salvaged from the site a complete bronze saucer or lid, 7.36 cm in diameter, fragments of a few bronze vessels and an ornamental bronze piece are noteworthy.

Terracotta Plaques

As many as 40 terracotta plaques had been registered from the site, most of which were found loose on the site of the shrine area in layer (2) while five were in situ in a frieze in the basement of the western projection of the shrine. These plaques were removed from the wall and kept in the store of the Mainamati museum for their security. A few plaques were also found at the monastery area. The plaques recovered from the site represented man and animal, divine and semi-divine beings, composite figures, natural motifs etc. This rich plastic art faithfully represents the social, cultural and religious life of ancient Samatata.

A short descriptive catalogue of the selected specimens is given below:

1. Terracotta plaque, 31×23×6 cm, broken, slightly damaged; with a representation of bas-relief of a warrior seated in a relaxed pose, holding a sword in his left hand. Something was in the right hand which is broken and missing. He wears a necklace. Accession No.477, Square C-VII/, Layer (2). Depth 1.16 m.

2. Terracotta plaque, 33×20×2 cm, complete, slightly damaged, depicts a pair of confronting rajhansa with a pair of pearl necklaces. The plaque contains a whole in the middle of its back VII/, (1), 45 cm.

3. Terracotta plaque, 9×8×5 cm, damaged and worn, depicts a human figure. Only the lower part of his right hand holding some basket or pot like object survives. 581, E-VII/1, (2),46 cm.

4. Terracotta plaque, 32×22×6 cm, complete but badly damaged, depicts a warrior with sword in right hand , excellently executed. It is one of the finest example of mainamati terracottas. 584, , E-VII/1, (2), 53 cm .

5. Terracotta plaque, 1×10×5 cm, decayed and broken, portraying the hind part of a wild boar, Major portion of the animal is missing.601, E-VII/1, (2),76 cm.

6. Terracotta plaque, 30×17×6 cm, very much decayed and slightly damaged, represents the bas relief of an elephant. Its hollowed body is open from the side probably due to breakage or it is prepared in this design. It shows an interesting feature of its manufacturing technique, it seems that the plaques of large sizes were cast with hollowed body.642, D- VII/19,(4), 1.50 m.

7. Terracotta plaque, 19×11×5 cm , broken and decayed, retains only the hind quarter of a cow or buffalo with long tail and hoofed legs.655,D- VII/22, (2),1.5 m.

8. Terracotta plaque of a wild boar, 21 × 18 × 5 cm, broken into two pieces but restored with, its right upper corner missing and decayed. The animal is more or less intact. 664, E-VII 15, (1) 10m

9. Terracotta plaque probably depicting a warrior measuring 29 × 21 × 5 cm, broken into two halves but restored, decayed and worn out. 689, D-XV/18, (2) 82 cm.

10. Terracotta plaque, 29 × 21 × 5 cm, broken and decayed representing two male figures fighting each other. Their heads are missing. 690, V-1/18, (2) 68 cm

11. Terracotta plaque,23 × 21 × 5 cm, broken and decayed, representing running male figure. 692, D-V/18, (2) l m.

12. Terracotta plaque, 33×21×5 cm, slightly damaged depicting a monkey sliding on a wooden log. Its hands are raised upwards and the head damaged and missing. 739, E-V/6, 3.2.5m,

13. Terracotta plaque, 35×22×6 cm, broken into two halves and damaged, representing two warriors. Left one is holding sword and the right one is seen with sword in his left hand; right hand holds some object. 744, E-V/6,(4), 2.88m.

14. Terracotta plaque, 29×21×6 cm , complete, depicting an archer in action with bow and arrow. 756, D-V/22,(2), 1.37 m.

15. Terracotta plaque, 33×22×6 cm, broken at lower right corner. It probably depicts three stupas resting in an ornamental pedestal with double rows of beads. In front of the central stupa there is probably a flower pot with a diamond shaped plant and flower. 758 E-V/6, (4), 3.15 m.

16. Terracotta plaque, 20×21×5 cm, complete representing a lion with single head and two bodies. The plaque probably was meant to decorate the corner of the shrine. 759, E-V/6,(4), 3.1m.

17. Terracotta plaque,26×20×5 cm, complete, slightly defaced, representing a composite figure comprised of human face (badly damaged ) and animal body with two stylized wings. 760. D-V/22,(2), 1.37m.

18. Terracotta plaque, 15×12×5 cm, broken, only the left hand of a warrior is preserved which holds a shield. 761,E-V/6,(3),2 m.

19. Terracotta plaque, 24×16×5 cm, broken out but restored. It depicts a crudely lion with a single head and double bodies. 782.D-V/22,(2),

20. Terracotta plaque, 23×15×5 cm , broken and decayed, depicts a stylized horse. 784 (2), D-V/22,(2), 1.6 m.

21. Terracotta plaque, 30×21×6 cm, broken and decayed, represents a horse-rider. Arms of the rider are raised upto his shoulder level. Tail of the horse is missing. 795.E-V/4,(2), 1m.

22. Terracotta plaque, 33×21×6 cm, beautifully depicting an elephant and two rats representing a popular folk tale of Bengal. The elephant is ensnared with rope around its legs and the tiny rat friends ate cutting the rope to get the elephant free from bondage. Trunk and tail of the elephant are partly broken. 796, E-V/4, (2),1 m 1).

23. Terracotta plaque, 34×20×7 cm, broken and decayed, representing a male dancer. His head, right knee and fingers of both the legs are broken and missing. 817.E-V/6, (4), 3.5 m.

24. Large terracotta plaque, 40×21×6 cm, complete and beautifully executed. It represents two fighting monkeys.871.E-V/4,(4),76 cm 2).

25. Terracotta plaque, 30×21×5 cm, broken and decayed depicting makara. 896, C-IV/24,(2A),2.2 m.3).

26. Terracotta plaque, 26×22×9 cm, complete but worn out. It represents a male dancer. Back side of the plaque is carved. 913,C-IV/24,(2A), 2.05m 4).

27. Terracotta plaque, 31×21×7 cm, complete, excellently executed. It depicts a blue lotus with expanded petals.914,C-IV/24,(2A),2.05m .

Terracotta plaques ‘in situ’

28-29. Two terracotta plaques, 24×21×4 cm, and 25×21×4 cm, respectively. Both are complete and excellently executed; each depicting a horse-rider. Since these two plaques were set in the basement confronting each other it appeared that they were fighting one another. 950, C-IV/24, 951, C-IV/24,6).

30. Terracotta plaque, 26×18×5 cm, complete and in good state of preservation. It excellently represents a maned lion face with protruding tongue, bulging eyes. Developed eye brow. Paws of the animal ate placed in front. 952. G-IV/24, 7).

31-32.1 Two complete terracotta plaques, 24×19×5 cm and 24×20×5 cm, in good condition. One depicts excellent archer having bow. The archer wears dhoti, necklace and bangles. 953,G-IV/24. The other one is holding shield in his left hand. Like horse riders these two plaques also were set on basement in such a fashion that they appear to fight one another ( two figures on left of this panel).

Terracotta Sealings

About a dozen of circular terracotta sealings, measuring about 5 cm in diameter, with the usual Buddhist creed had been recovered from the site. These were intact and Buddhist creed in the periphery.

Votive Clay Stupas

Among the four terracotta votive clay stupas recovered from the site one was salvaged from the verandah area of the south-east corner of the monastery, two from the adjacent courtyard and one near the eastern exterior wall of the monastery. These were intact and their height ranged from 3.75 to 5 cm.

Ornamental Bricks

A large number of ornamental bricks were found from different areas of the site, specially from the shrine area. They depict various designs such as half-found edge and thinned edge, stepped pyramid, flower motif, lotus petal, dental ,motif, indented and saw, loop, zigzag, geometric-cum floral design, billet and rope design. The lotus petal and stepped pyramid patterns were most common not only in Ananda Vihara and other sites of Mainamati but also in Bahsu Bihar, Paharpur and other Buddhist sites. The ornamental bricks were used with the terracotta plaques for decorating the exterior wall of the shrine. In the central shrine a large number of these bricks were found in situ in the basement of the exterior wall of the eastern and western arms of the shrine. When the shrine collapsed a huge number of ornamental bricks also were detached from the building and were haphazardly strewn on the adjacent areas. A large number of these bricks were discovered from the heaps close to the shrine area during excavations.

Inscribed Ornamental Brick

Among the salvaged antiquities, an inscribed ornamental brick deserved special mention. It contained three/four lines of inscription of proto-Bengali character on one side with lotus petal design in the face. It had been pocked up loose from the fallen debris of layer (3); square E-V/6, at the south-east corner of the central shrine. The brick measured 28×25×5 cm .The inscription is yet to be deciphered.

Stone Beads

A few semi-precious stone beads of agate, cornelian, quartz etc. were recovered from the site. They were disc, cylindrical, elongated and spherical in shape. Most of them were collected from the shrine area. Besides, a few glass beads also were discovered.

Iron Objects

A number of iron objects were collected from the site including a few iron nails, one iron knife, one iron blade, one iron hinge, one iron cutter, one iron hook with two chain links etc. Most of these were rusted, decayed and broken.

Miscellaneous Objects

The miscellaneous objects recovered from the site included terracotta beads, balls, discs, toys, dabbers, grinding stones, stone pestles, pieces of laterite, lime stone, fossil wood, charcoals, burnt rice, chalk pieces, bricks with foot print of man and animal, terracotta weight, copper wire, animal teeth (of a horse of a mule), etc.

Pottery

In course of digging a large quantity of potsherds were recovered from the site. Complete wares were a few. These were medium sized pots, lids and saucers. The shreds were composed of all sorts of texture i. e.. thin, medium and thick. Medium textured shreds were dominant followed by thin and thick textured wares respectively. These shreds varied in colour from redish, pale redish, grey and blackish. These sherds were of cooking pots, pans, vases, bowls, tumblers, jars, pitchers, lids, saucers, oil lamps, stands, sprinklers and various other household objects of everyday use. A good number of sherds bear decorated designs such as square, rope and net impression, incised grid pattern and herring-bone design. Square and herring bone design were common whereas rope impression was rare.

Chronology

A large number of cultural materials including structural remains had been discovered from the site. But no epigraphic record could be salvaged from here in excavation. In the absence of dateable evidence it is difficult to establish any absolute chronology of this site. Moreover, the site has not yet been fully exposed. The cultural material from its lowest level is negligible. However, on the basis of the iconographic parallels, and the themes reflected in the plastic art and their style and manufacturing technique, a relative chronology of the site can be drawn. The site might have been built in the 7th century and was in use upto 13th century A.D.

Discovery Of Pottery Kilns

It is interesting to note that 5 pottery kilns were accidentally discovered in 1977 on the open field just outside the southern wing of the monastery towards its south-east corner. Here a large hockey ground had been prepared for the soldiers by removing earth to a depth of about 0.75 m to 1.25 m about a year back (1976). While removing earth a number of old pottery kilns were exposed. These might have existed in larger area in the unexcavated higher ground in the west. In order to examine their nature one kiln was cleared inside upto the depth of about 1 m and it was found that the kilns was full of complete and semi-complete earthen wares of various shapes and sizes similar to the pottery recovered from excavation at Ananda Vihara. Since the wares were fully fired it is presumed that the potters perhaps kept them in the kiln for the time being of did not get time to take them out. Because of incessant rains it was not possible to expose the kiln fully and recover all the objects found inside. However, about a dozen of large and medium sized pots, a number of small wares, vases, saucers, cups, lids with semi-complete pots and large body fragments of some other earthen wares were collected from the kiln. These pots were found completely filled with earth. But because of their thin body and weak fabric and also long association with earth they were very much decayed and cracks were developed on their bodies. So in curse of recovery and during cleaning almost all of them had been broken into pieces. Only a few could be restored. The discovery of these pottery kilns close to the archaeololgical site like Ananda Vihara is significant for it is the first of its kind in the country. Until this discovery no other pottery kiln has been reported from any site in Bangladesh. So this unique discovery is the only unmistakable evidence for pottery manufacturing centre of ancient ‘samatata’. Other sited like Rupban Kanya Mura, “Bhojrajar Bari, and “Itakhola Mura and ‘Rupban mura’ are not very far form this kiln The possibility of supplying the earthen wares from this factory to these archaeological sited cannot be ruled out.

Discussion

The excavation had revealed the remains of a square monastery measuring 190.5×190.5 m arranged around a central cruciform shrine. The monastery showed two phase of building activity. But only one phase had been unveiled in the temple complex excepting a floor which appeared to be related to its earlier phase. No other remains of the earlier phase had been evident in this shrine area. Science the excavation in this area had been carried out in a limited area further digging is required to expose the architrectural remains related to this floor and more particularly the earlier phase. We have already noted that no floor could be traced in the first phase cells of the monastery. But exposure of a number of floors in the verandah of the first phase clearly indicated that the monastery was undoubtedly in use during this phase. That means there were floors in the cell contemporary to those of the verandah. Most probably during the construction of the second phase wall in the middle of the first phase cell the upper floors (s) had been destroyed. Since digging could not be carried down further deep in the first phase cell due to the existence of second phase wall, we were not sure how many floor were there. It needs further digging in the first phase cell by cutting through some portions of front wall to the second phase cell. Here it is worthnoting that the construction and reconstruction of such ancient building was not an unusual phenomenon. Rather it was very common in all the ancient establishments. For instance, the similar feature was noticed at Salban Vihara (Khan 1693). Rupban Mura (Alsm M.S. et al. n.d.), Itakhola Vihara (Rahman 1998) in Mainamati, Paharpur Mahavihara in Naogon ( Dikshit 1934), Bhasu Bihar (Ahmed 1979) and Bihar (Alam M.S, 1990) in Bogra. The builders either changed the original layout of the monastery (Rupban Mura), or without changing the external layout they shifted the alignment of cell either backward (4th phase in Salban vihara) (Khan 1963) or side way (Paharpur) (Alam M.S.n.d.). The unique chance discovery of pottery kilns behind the monastery had largely added the importance of the site. It is reported that only 5 kilns were discovered and there might have been more, which could not be discovered due to time constrain. Similar types wares found in the kiln as well as in the site indicated that these kilns were the sources of the pottery used in ‘Ananda Vihara’. It is likely that the potters manufactured their wares here and supplied those to other neighboring sited also like ‘Bhoj Vihara’, ‘Itakhola Mura’ and ‘Rupban Mura’. This conjecture is supported by the discovery of similar types of earthen wares from those sites. But it does not exclude the possibility of existence of more pottery kilns in other sites of Mainamati. Rather it is more likely that there might have been more manufacturing centers of earthen wares near other establishments like ‘Salban Vihara’, Kotbari etc. which are yet to be discovered. Until then these kilns will remain as unique discovery in the country.

CONCLUSION

The excavation had been carried out in a very restricted area if the monastery and the shrine. Remains of large portion (more than 80%) of the total area of the vast site yet remain unexcavated. Even the digging had been mostly confined to the upper level. Only 13 monastic cells had been excavated so far. Similarly a small portion of the central shrine had been exposed to its southern half. In order to explore the earlier level of Mainamati and to ascertain the association of this monastery with the Deva dynasty, if any, we must resume the work as soon as possible.

Source: http://learnfirsttolive.blogspot.com/2013/05/ananda-viharapart-1.html